করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনে শঙ্কিত জার্মান প্রবাসীরা

করোনার সংক্রমণে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন রূপ পাওয়ায় জার্মানিতে বসবাসরত প্রবাসীসহ স্থানীয় নাগরিকেরা। প্রতিবেশী ৯টি দেশের সাথে সীমান্ত থাকায় শঙ্কার জায়গাটা সবচেয়ে বেশী বলছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা গেছে, এমনিতেই কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ এ দিশেহারা পুরো জার্মানি। তার ওপর নতুন করে দক্ষিণ আফ্রিকার করোনার ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের অস্তিত্ব নিশ্চিত হবার পর আতঙ্কে প্রবাসীসহ স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে আক্রান্ত অঙ্গরাজ্য বায়ার্ন ও হেসেনে সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরতদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন রূপ পাওয়া ওমিক্রন ভাইরাসটি যাতে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে জার্মানিতে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সীমান্তে স্বাস্থ্য পরীক্ষা জোরদার করেছে দেশটি। তবে প্রবাসীসহ স্থানীয়রা আশা করছেন দেশজুড়ে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে রুখতে জার্মান প্রসাশন সর্বোত্তম চেষ্টাই করবে।
অন্যদিকে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিমানবন্দরে গত ২১ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত করোনার দুই ডোজ নেওয়া আরও এক যাত্রীর শরীরে ভয়ংকর ওমিক্রন ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। সন্দেহভাজন ওই যাত্রীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
ভয়ংকর করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট থেকে আপাতত রেহাই পেতে প্রশাসন ও সাধারণ নাগরিকদের কণ্ঠে ছিল টিকা গ্রহণের আকুতি। আর তাই দেশব্যাপী টিকা কেন্দ্র ও সাধারণ ডাক্তারদের চেম্বারে বেড়েছে টিকা গ্রহীতাদের ভিড়।
এক জার্মান বলেন, দেখুন ভয়ংকর এই ভ্যারিয়েন্ট খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এর থেকে বাঁচতে টিকা নিতেই হবে। আমাদের ডাক্তার ও ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, করোনার নতুন রূপ মৃত্যু ডেকে নিয়ে আসতে পারে। একমাত্র টিকাই এখন ভরসা।
এদিকে গেল ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিজুড়ে করোনায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ হয়েছে আরও ১০৪টি লাশ সঙ্গে সংক্রমিত প্রায় ৪৫ হাজার। নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে জীবন মৃত্যুর এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এমনটাই আশংকা করছেন দেশটির চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।

প্রবাসখবর.কম/বি